জানুন অ্যাপলের সূচনা কাহিনি (শুরু – 2011)

 অ্যাপলের তৈরি প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার অ্যাপল- তৈরির ১২ মাসের মাথায় ১৯৭৭ সালে বাজারে আসে অ্যাপল-২। এটি বেশি করে উৎপাদন করা হয়। ব্যক্তিগত ব্যবহারকারীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অ্যাপল- নিয়ে স্টিভের মতামত ছিল, আমার স্বপ্ন এবং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার। যাত্রা শুরুর দুই বছরের মাথায় এটি আয় করে প্রায় সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার!  



ম্যাকিনটোশ
ছবিভিত্তিক নির্দেশনা (গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস) ব্যবহার করে ১৯৮৪ সালে বাজারে আসে ম্যাকিনটোশ। এটি বাজারে ছাড়ার অনুষ্ঠানটিও ছিল দারুণ, যা সে সময় কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভাবতেও পারেনি। আর ম্যাকিনটোশের ব্যাপক বিপণন প্রচারণায় সারা বিশ্ব মাতিয়ে দেয় অ্যাপল। ম্যাকিনটোশ ডেস্কটপ প্রকাশনার জগতে নতুন বিপ্লব সৃষ্টি করে।
 আই ম্যাক
অ্যাপল থেকে চলে গিয়ে তিন বছর পর যখন স্টিভ আবার অ্যাপলের হাল ধরেন, তখন ছিল মাইক্রোসফটেরউইন্ডোজঅপারেটিং সিস্টেমের জয়জয়কার। ১৯৯৮ সালের সে সময়টিতে নতুনভাবে স্টিভের চিন্তার ফসল আই ম্যাক। আই ম্যাক কম্পিউটার মনিটর ছিল রংবেরঙের এবং একটি প্লাস্টিক বুদ্বুদের ভেতর। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দারুণ উপযোগী ছিল আই ম্যাক।



আইপড
আইপড তৈরি করে কম্পিউটারের বাইরে আসে অ্যাপল। নানা সুবিধার ১০ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ, এক হাজার গান ধারণক্ষমতাসহ ডিজিটাল মিউজিক প্লেয়ারটি গান শোনার ক্ষেত্রে যোগ করে নতুন মাত্রা। ২০০১ সালে আইপড উদ্বোধনের সময় স্টিভ বলেন, একই গান একাধিকবার যাতে শুনতে না হয়, সে সুবিধা নিয়েই তৈরি হয়েছে আইপড। যন্ত্রটি সফলতার দিক দিয়ে রয়েছে শীর্ষ অবস্থানে।

আইপড ন্যানো
আইপডের তুমুল জনপ্রিয়তার পর গান শোনার যন্ত্রটি নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেন স্টিভ। জায়গা, সুবিধা ঠিক রেখে ২০০৫ সালে আরও ছোট আকারে বাজারে এসেছিল আইপড মিনি। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে আইপড মিনির আরও উন্নত সংস্করণ দুই চার গিগাবাইটের সাদা এবং কালো রঙের আইপড ন্যানো বাজারে আসে। প্রথম প্রজন্মের সুবিধাসহ আইপড ন্যানো লম্বায় ছিল ৯০ মিলিমিটার এবং ওজন ছিল ৪২ গ্রাম। ন্যানোতে ছিল ১০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ সুবিধা। 
আই ম্যাক
অ্যাপল থেকে চলে গিয়ে তিন বছর পর যখন স্টিভ আবার অ্যাপলের হাল ধরেন, তখন ছিল মাইক্রোসফটেরউইন্ডোজঅপারেটিং সিস্টেমের জয়জয়কার। ১৯৯৮ সালের সে সময়টিতে নতুনভাবে স্টিভের চিন্তার ফসল আই ম্যাক। আই ম্যাক কম্পিউটার মনিটর ছিল রংবেরঙের এবং একটি প্লাস্টিক বুদ্বুদের ভেতর। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য দারুণ উপযোগী ছিল আই ম্যাক।


আইফোন
সবচেয়ে আলোচিত পণ্য আইফোন। স্মার্টফোনের জগৎকে পাল্টে দেওয়া আইফোন এটাই জানিয়ে দেয়যে মোবাইল ফোনে শুধু কথা বলাই নয়, করা যায় আরও অনেক কিছু।একটিমাত্র বোতামের মাধ্যমে পুরো ফোনটি চালানোর সুবিধা থাকায় বিষয়টি ছিল দারুণ আলোচিত। প্রযুক্তিপ্রিয় কিংবা প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদেরও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে চলে আসে আইফোন। আইফোন বাজারে এসে স্মার্টফোনের বাজারে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে নেয়।





আইটিউনস
২০০১ সালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গান পাওয়ার নতুন এক দিগন্ত চালু হয়। পুরো সংগীত নিয়ে তৈরি হওয়া আইটিউনসে গান কেনার সুযোগ পায় আগ্রহী সংগীতপ্রেমীরা। পাইরেসি ডিজিটাল চুরি ঠেকাতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল বিশ্বের সংগীতশিল্প, তখনই এমন উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হয়। ধীরে ধীরে আইটিউনস হয়ে ওঠে সংগীতের এক বিরাট সংগ্রহশালা। ২০০৮ সালে এটি যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে ওঠে সংগীতের সবচেয়ে বড় খুচরা ক্রয়-বিক্রয়কেন্দ্র।
আইপ্যাড
আইফোনের মতোই আইপ্যাড বাজারে এসে ট্যাবলেট পিসির ধারণাই বদলে দেয়। এর আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ট্যাবলেট পিসি নিয়ে কাজ করলেও সফলতার মুখ দেখেনি। ২০১০ সালে আইপ্যাড এক নতুন ধারণার জন্ম দেয়। সম্পূর্ণ স্পর্শকাতর পর্দার সুবিধার আইপ্যাড বহনযোগ্য দারুণ এক যন্ত্র।ল্যাপটপের পর কম্পিউটারের চেহারা কেমন হবে, আইপ্যাড তা দেখিয়ে দেয়।

আইওএস অ্যাপ স্টোর
২০০৮ সালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় পাঁচ লাখ অ্যাপস (প্রোগ্রাম) এক হাজার ৫০০ কোটি বার নামানো হয়! অ্যাপলের সব ধরনের পণ্যের জন্য নানা ধরনের অ্যাপসে সমৃদ্ধ অ্যাপ স্টোরটি আইফোন ব্যবহারকারীদের নতুন নতুন অ্যাপস ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়।
পাশাপাশি নানা ধরনের অ্যাপস তৈরির ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপারদের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল কার্যক্রম।

ম্যাকবুক এয়ার
অ্যাপলের পণ্য তৈরির তালিকায় সেরা আরেকটি পণ্য ম্যাকবুক এয়ার। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ল্যাপটপ। যদিও ম্যাকবুক এয়ার সারা বিশ্বে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি।

অ্যাপল স্টোর
অ্যাপলের সেরা পণ্যের পাশাপাশি জড়িয়ে আছে অ্যাপল স্টোরের নাম। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপল স্টোর চালু হয়। ব্যবহারকারীদের কাছে অ্যাপলের তৈরি সেরা সব পণ্য সহজে পৌঁছাতে বিশ্বে প্রায় ৩৫০টি অ্যাপল স্টোর খোলা হয়। অ্যাপল পণ্যের জনপ্রিয়তার পেছনে অ্যাপল স্টোরের অবদান যে অনেক, সেটা অ্যাপল কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবহারকারীরা স্বীকারও করেছেন।
 
নুরুন্নবী চৌধুরীl
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, উইকিপিডিয়া








No comments:

Post a Comment

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More