শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নার্সের পুরুষ হওয়ার অনৈতিক ইচ্ছে আর পূরণ হলো না। হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছেন 'নার্স রোকসানা একজন নারী'। এদিকে রোকসানার অন্য মেয়েকে বিয়ের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে শজিমেক হাসপাতালে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার মেয়ে রোকসানা রানা। গত বছরের জুলাই মাসে শজিমেক হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসেবে যোগদান
করেন। এরপর তার স্থান হয় নার্স ডরমেটরিতে। দিনের পর দিন সেখানেই কাটাতে থাকেন।
এক সময় নিজেকে পুরুষ হিসেবে জাহির করতে থাকেন পোশাকে পরিবর্তন ঘটিয়ে পরতে শুরু করেন ট্রাউজার গেঞ্জি। রোকসানা রানার এই আচরণ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলেন তারই ডরমেটরিতে বসবাসকারী আরেক নার্সের মেয়েকে। কয়েকজন নার্স জানিয়েছেন নিজেকে পুরুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রায় ২০ দিন আগে বিয়ে করেন এক নার্সের মেয়েকে। একজন মেয়ে হয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করায় তোলপাড় পড়ে যায় হাসপাতালে। প্রতারণার শিকার সেই মেয়েটি বুঝতে পারেন যে তাকে বিয়ে করেছে, সে আসলে পুরুষ নয়। এরপর অভিযোগ আসে হাসপাতালের বড় কর্তার কাছে। হাসপাতাল থেকে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এই মেডিকেল টিমের এক সদস্য জানান, রোকসানার মেডিকেল টেস্ট করার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি একজন নারী। তবে তার পুরুষ হওয়ার প্রবল আকাঙ্খা। এ কারণে তিনি সার্জারির মাধ্যমে স্তনের চর্বি জাতীয় পদার্থ অপসারণ করে নিয়েছেন। একই সাথে কৃত্রিম গোপনাঙ্গ স্থাপন করে নিয়েছেন। আর এটাই করেই তিনি সরল মেয়েদের ফাঁদে ফেলতে চান। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার মেয়ে রোকসানা রানা। গত বছরের জুলাই মাসে শজিমেক হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসেবে যোগদান
করেন। এরপর তার স্থান হয় নার্স ডরমেটরিতে। দিনের পর দিন সেখানেই কাটাতে থাকেন।
রোকসানার বিয়ে করা প্রসঙ্গে হাসপাতালের একাধিক স্টাফ ও তার সহকর্মিরা জানান, তারা সকলেই জেনেছেন রোকসানা এক সিনিয়র নার্সের মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর ঐ মেয়ে বুঝতে পারেন তিনি প্রকৃত পুরুষ নয়। এ কারণে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটেছে। আর নার্গিস বদলি হয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাইনী বিভাগের এক চিকিৎসক জানান রোকসানা একজন নারী এটা নিশ্চিত। তার বিয়ে করা প্রসঙ্গে তিনিও জানান বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
গতকাল শজিমেক হাসপাতালে গিয়ে একাধিক সিনিয়র নার্সের সাথে কথা বললে তারা জানান, রোকসানার এ সকল কর্মকান্ড বিকৃতি রুচির বহিঃপ্রকাশ। জঘন্যতম অপরাধ। এ ব্যাপারে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শফিকুল ইসলাম গত কয়েক দিনে এ নিয়ে কয়েক দফা দেন দরবার করেছেন। তিনি গতকালও গাইনী বিভাগের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও রোকসানার সাথে কথা বলেছেন।
এ ব্যাপারে রোকসানা রানার সাথে বারবার সাক্ষাত করে কথা বলতে চাইলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি । এ কারণে তার বিয়ে করা না করা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা যায়নি।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ ফজলুল বারী মিঠু জানান এটা এক ধরনের অসুখ। তিনি অসুস্থ, তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ।
পরিচালক ডাঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি একজন নারী। তাকে যে ডর্মেটরীতে সিট দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তাকে পুরুষ ডর্মেটরীতেও সিট দেওয়া হবে না। তিনি পরবর্তী কি পদক্ষেপ নিবেন তা সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জানা যাবে বলে জানান। রোকসানার বিয়ে প্রসঙ্গে তিনি জানান ব্যাপারটি তিনি জানেন না।
No comments:
Post a Comment