ভালো লাগার মানুষটিকে একনজর দেখতে সাগরপথে আড়াই হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছেন তুরস্কের রামাজান নয়ান কুলুম। তবে আট মাস ধরে ঝড়-জল পাড়ি দিলেও মনের মানুষ কোর্টনি মারের সঙ্গে তাঁর দেখা পর্যন্ত হয়নি। যুক্তরাজ্যের প্লাইমাউথ বন্দরে ভেড়ার পথে গত শুক্রবার কুলুমকে আটক করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। কারণ ভিসা, পাসপোর্ট কিছুই ছিল না তাঁর সঙ্গে।
২০০৫ সালে সাইপ্রাসের একটি রেস্তোরাঁয় কোর্টনিকে প্রথম দেখেন কুলুম। কোর্টনি ওই রেস্তোরাঁর কর্মী ছিলেন।
প্রথম দেখাতেই কুলুম তাঁর প্রেমে পড়ে যান। রেস্টুরেন্ট থেকে কোর্টনির ফোন নম্বর জোগাড় করে বারবার প্রেম নিবেদন করেন তিনি। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে দ্রুত ব্রিটেনে ফিরে যান কোর্টনি। বিয়েও করে ফেলেন।২০০৫ সালে সাইপ্রাসের একটি রেস্তোরাঁয় কোর্টনিকে প্রথম দেখেন কুলুম। কোর্টনি ওই রেস্তোরাঁর কর্মী ছিলেন।
গত বছর ফেসবুকে দেখা পেয়ে আবার কোর্টনির সঙ্গে যোগাযোগ করেন কুলুম। এরপরই নিতে থাকেন ব্রিটেন যাত্রার প্রস্তুতি। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল তুরস্কের বদরাম বন্দর থেকে নিনোভা নামের ১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের নিজস্ব ইয়টে চড়ে কুলুম রওনা দেন ব্রিটেনের পথে। সমুদ্রযাত্রা নিয়ে একটি ব্লগ খোলেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, 'আমি আসছি কোর্টনি। আমার জন্য প্রার্থনা কর।' যাত্রার একপর্যায়ে তিনি লেখেন, 'তোমার জন্য আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত। আমার জাগরণে, স্বপ্নে_প্রতিটি মুহূর্তে আমি কেবল তোমার কথাই ভেবেছি। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে চাই না। তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?'
অবশ্য বরাবরই কুলুমকে সতর্ক করে আসছিল কোর্টনির পরিবার। তাঁর এক আত্মীয় কুলুমকে সতর্ক করে বলেন, 'কোর্টনি কখনোই তোমার সঙ্গে কোনো সম্পর্কে যাবে না। বিয়ে করে সে সুখে আছে। তুমি শুধু শুধু বোকার মতো কোর্টনি আর তাঁর পরিবারকে বিব্রত করছ। তুমি যদি ব্রিটেনে এসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা কর, তবে আমরা পুলিশে খবর দেব।'
কিন্তু কোনো কথা শোনেননি কুলুম। অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, ভূমধ্যসাগর, মেসিনা প্রণালি, জিব্রাল্টার প্রণালি, সবশেষে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনের সমুদ্রসীমায় পৌঁছে যান কুলুম। তবে শেষ পর্যন্ত কোর্টনির সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ব্রিটেনের প্লাইমাউথ বন্দরে পৌঁছানোর আগেই তাঁকে আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আবার তুরস্কেই ফেরত পাঠাবার ব্যবস্থা করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। সূত্র : জি নিউজ।
No comments:
Post a Comment